মুর্শিদাবাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে পরিচিত জমিদার বাড়িগুলো বর্তমানে নিছক স্মৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে একসময় বলবৎ ছিলো রাজত্বের গৌরব। উত্তরসূরীরা বিদেশে চলে যাওয়ার পর, এই জমিদার বাড়িগুলো জীর্ণ হয়ে ভূত বাংলোতে পরিণত হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, বহরমপুররের মাছমারা এলাকার অমর সাথী দুর্গোৎসব কমিটি তাদের রজত জয়ন্তী বর্ষে 'ভূত বাংলো' থিম নিয়ে আসে, যা ঐতিহ্য পুনর্জাগরণের এক অভিনব উদ্যোগ।
পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, "আমাদের লক্ষ্য হলো এই জমিদার বাড়িগুলোর ইতিহাস দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরা এবং তাদের সংস্কারের জন্য সচেতনতা সৃষ্টি করা।" 'ভূত বাংলোয় দশভূজা' ক্যাচলাইনের মাধ্যমে তারা দর্শকদের মধ্যে ভূতের প্রতি কৌতূহল সৃষ্টি করতে পেরেছেন, যা পুজো মণ্ডপে ভিড় বাড়াবে বলে আশা করছেন।
এছাড়া, এবছরকার পুজো উপলক্ষে সামাজিক সচেতনতার বার্তা নিয়ে আসা হচ্ছে, যেখানে বৃক্ষরোপণ, জলাভূমি রক্ষা এবং ক্যারিব্যাগ বর্জনের মতো বিষয়গুলি গুরুত্ব পাচ্ছে। অন্যান্য পুজো কমিটির সঙ্গে প্রতিযোগিতা না করে, অমর সাথী দুর্গোৎসব কমিটি তাদের উদ্যোগের মাধ্যমে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।
সুতরাং, এবারের দুর্গোৎসব শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি মুর্শিদাবাদের ইতিহাস এবং সংস্কৃতির পুনর্বাসনের এক সুযোগ। দর্শনার্থীরা এখানে যেমন মা দুর্গাকে দর্শন করবেন, তেমনি পুজো মণ্ডপের মাধ্যমে জমিদার বাড়ির ঐতিহ্য সংরক্ষণে সচেতনতা বৃদ্ধি করতেও সহায়তা করবেন।